বর্তমানে গুগল তার সার্টিফিকেশন পদ্ধতিকে অনেকটাই বদলেছে। তবে যদি আপনি একজন দক্ষ পিপিসি হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে চান তবে এই সার্টিফিকেট আপনাকে অনেকটাই এগিয়ে দেবে। আগে এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ৫০ ডলার খরচ করতে হত। তবে এখন এটি বিনামূল্যে হয়। তবে একবার পরীক্ষা দিয়ে ফেল করলে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। https://www.google.com/partners/ -এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করে আপনি পরীক্ষা দিতে পারবেন। Google Adwords
এখানে তিন ধরনের পরীক্ষা রয়েছে- ১) অ্যাডভারটাইজিং ফান্ডামেন্টালস
২) অ্যাডভানসড সার্চ
৩) অ্যাডভান্সড ডিসপ্লে
আপনাকে সার্টিফিকেট পেতে হলে এর মধ্যে যেকোনও দুটি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এই দুটি পাশ করলে গুগলের তরফে সার্টিফিকেট পাঠানো হবে। যা আপনি সকলকে দেখাতে পারবেন। আপনি এর একটি লিঙ্কও পাবেন। যার মাধ্যমে আপনার প্রোফাইল ও সার্টিফিকেট দেখা যাবে। কেউ অনলাইনে সেটি ভেরিফাই করতে চাইলে গুগল পার্টনার্সের মাধ্যমে তা করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন সেটিংস থেকে ভিসিবিলিটি অপশনটি যেন পাবলিক করা থাকে, যাকে সবাই এটি দেখতে পায়। Google Adwords
আর হ্যাঁ, এই পরীক্ষায় পাশ করতে গেলে আপনার স্টাডি গাইড অবশ্যই প্রয়োজন। google ads বা অ্যাডওয়ার্ডস সার্টিফিকেশনের স্টাডি গাইড আপনি গুগল সাপোর্ট পেজে পাবেন। আপনি যদি একটু ভালোভাবে সেটি পড়েন তাহলে আপনি অনায়াসেই সেটি পাশ করে যাবেন।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডস (Google Adwords) কী?
এটি গুগলের একধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যম যেখানে বিজ্ঞাপনদাতারা কোনও একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের জন্য নিলাম করে। যাতে কেউ গুগলে কিছু সার্চ করলে তার তৈরি বিজ্ঞাপন সকলকে দেখায়। তবে এর জন্য বিজ্ঞাপনদাতাকে গুগলকে পয়সা দিতে হয়।
অ্যাডওয়ার্ডস কী কোনও কাজ করে?
আপনি যদি সঠিক কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করেন যার সঙ্গে আপনার কোম্পানি ও প্রোডাক্টের সামঞ্জস্য আছে তাহলে আপনার অ্যাডওয়ার্ডস কাজ করবে। তবে কিছুক্ষেত্রে ভুল কি-ওয়ার্ড, খারাপ লেখা, লো সিটিআর বিজ্ঞাপনের জন্য অ্যাডওয়ার্ড ততটা সাফল্য এনে দিতে পারে না।
গুগল অ্যাড ওয়ার্ডের জন্য কত টাকা লাগে? বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক বিভিন্ন হয়।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে আপনি কীভাবে বিজ্ঞাপন দেবেন?
এর জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি গুগল অ্যাডওয়ার্ডস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
অ্যাডওয়ার্ডসে নিলাম কীভাবে কাজ করে? আপনার বিজ্ঞাপনের র্যাঙ্কের ওপর তার স্থান নির্ভর করে। আপনার বিজ্ঞাপনের র্যাঙ্ক সবথেকে ভালো হলে আপনার বিজ্ঞাপনটি সবার আগে দেখাবে। কিন্তু আপনি একমাত্র বিডার হলে বা সবচেয়ে কম বিড করলে এই নিয়ম কাজে আসে না। Google Adwords
গুগলের নিলাম কতবার হয়? প্রতি মাসে এটি এক লক্ষ কোটিবারের বেশি হয়। এর ফলে ইউজাররা তাদের প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন পায়। সেটি ক্লিক করে ও বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে সবচেয়ে কম দামে কেনার চেষ্টা করে। এই পদ্ধতি থেকে গুগল লক্ষ কোটি টাকা আয় করে।
গুগল (Google Adwords) নিলাম কীভাবে কাজ করে?
যখনও ওই নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন গুগলে লেখা হয়, সার্চ ইঞ্জিন সেটিকে প্রসেস করে নিলাম শুরু করে দেয়। আর তারপর বিজ্ঞাপনের স্থান নির্ধারিত হয়।
আপনি কীভাবে গুগলে নিলাম করবেন? গুগল সার্চের বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আপনি যখন কোনও নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড নিয়ে নিলামে অংশ নেবেন তখন আপনার গোটা বিজ্ঞাপন তার আওতায় পড়বে। আপনার নিলাম, কোয়ালিটি স্কোর এবং প্রাসঙ্গিকতাই স্থির করবে যে আপনার বিজ্ঞাপনটিকে এসইআরপি-তে দেখানে হবে কিনা।
গুগল নিলামের মধ্যে কী কী পড়ে?
বিজ্ঞাপনদাতা কিওয়ার্ড ও সর্বোচ্চ দর স্থির করে দিলে গুগল সেই বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই তথ্য নিয়ে নেয়। পাশাপাশি সেই সংলগ্ন বিজ্ঞাপনটিকেও গুগল তার নিলামের অংশ করে।
সিপিসি কী? এর পুরো কথা কস্ট পার ক্লিক। একজন ইউজার যতবার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে ততবার বিজ্ঞাপনদাতাকে কিছু পরিমাণ অর্থ গুগলকে দিতে হবে।
সিপিসি কীভাবে কাজ করে? আপনার কি-ওয়ার্ডের জন্য আর ক’জন প্রতিযোগী রয়েছে, আপনি সর্বোচ্চ কত দর দিয়েছেন, কোয়ালিটি স্কোর কেমন রয়েছে সেগুলোর অপর সিপিসি নির্ভর করে। Google Adwords
সিপিসির জন্য সাধারণত কত খরচ হয়? এটি একেবারে আপনার কিওয়ার্ড ও ইন্ডাস্ট্রির ওপর নির্ভর করে। তবে সার্চ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সাধারণত সিপিসির পরিমাণ ২.৩২ ডলার ও ডিসপ্লে নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ০.৫৮ ডলার।
আপনার বিজ্ঞাপনটি ইউজারদের কাছে কতটা উপযোগী তার ওপর গুগল আপনাকে পয়েন্ট দেয়।
আপনাকে কত টাকা ব্যয় করতে সেটা গুগল কীভাবে স্থির করে?
আপনার সর্বোচ্চ বিড, কোয়ালিটি স্কোল ও কি-ওয়ার্ড নিয়ে প্রতিযোগিতার ওপর এটি নির্ভর করে।
গুগল বিজ্ঞাপন (Google Adwords) র্যাঙ্ক কী? সর্বোচ্চ বিড ও কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিন পেজে কোনও কোম্পানির বিজ্ঞাপন যে স্থান দখল করে সেটাই গুগল র্যাঙ্ক।
বিজ্ঞাপন র্যাঙ্ক বনাম কোয়ালিটি স্কোর
বিজ্ঞাপনের র্যাঙ্কের ওপর নির্ভর করে সেটি গুগল সার্চে কত ওপরে দেখাবে। আর আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপন ইউজারদের কাছে কতটা উপযোগী হল তার ওপর কোয়ালিটি স্কোর নির্ভর করে।
অ্যাডওয়ার্ডসে বিজ্ঞাপনের স্থান কী?
আপনার দেওয়া বিজ্ঞাপনটি কোথায় দেখানে হবে সেটিই হল বিজ্ঞাপনের স্থান।
সিপিসি কীভাবে স্থির করা হয়?
বিজ্ঞাপনের র্যাঙ্কের থেকে কোয়ালিটি স্কোর প্লাস ০.০১ ডলার ভাগ করে এটি স্থির করা হয়।
অন্যান্য বিডিং মেথড
সেগুলি হল সিপিএম ও সিপিএ
সিপিএম কী? বিজ্ঞাপনের প্রভাবের ওপর সিপিএম বিডিং নির্ভরশীল। সিপিসি-এর পাশাপাশি এইরকম বিডিংও করা যায়।
সিপিসি বনাম সিপিএম বিজ্ঞাপনে কত ক্লিক হল তার ওপর সিপিসি মূল্য নির্ভর করে। আর বিজ্ঞাপনটি কতটা প্রভাব ফেলল তার ওপর সিপিএম মূল্য নির্ভর করে। একই সঙ্গে এই দুটি মেথড ব্যবহার করা যায়।
অ্যাডওয়ার্ডস কি-ওয়ার্ডস কী? এগুলি হল সেই শব্দ বা ফ্রেজ যেগুলি ব্যবহার করে অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা নিলাম করে যাতে যখন কেউ গুগলে সেই সংলগ্ন সার্চ করে তখন তাদের সেই বিজ্ঞাপনগুলি দেখায়।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কী? এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতা গুগলে তার বিজ্ঞাপন বা ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়াতে পারে। তবে এর জন্য সঠিক কিওয়ার্ড, ট্যাগ ও লিঙ্কের ব্যবহার আবশ্যিক।
গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করে?
এটি এমন একটি নেটওয়ার্ক যেখানে ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। আর যেখানে বিজ্ঞাপনের খরচ সার্চ নেটওয়ার্কের থেকে অনেক কম। তবে টার্গেট অডিয়েন্সের ওপরই নির্ভর করে যে বিজ্ঞাপনটি ডিসপ্লে নেটওয়ার্কে দেওয়া ভালো না সার্চ নেটওয়ার্কে।
অ্যাডওয়ার্ডসে অ্যাড গ্রুপ কী? সেটি কীভাবে কাজ করে? এটি একধরনের ভার্চুয়াল জায়গা যেখানে অ্যাডওয়ার্ডস বিজ্ঞাপন, কিওয়ার্ড ও ল্যান্ডিং পেজ রাখা যাবে। অ্যাড গ্রুপের মাধ্যমে গুগল সেগুলির তত্ত্বাবধান করে।
google ads বা অ্যাডওয়ার্ডসে বিজ্ঞাপনের প্রাসঙ্গিকতা কী? বিজ্ঞাপনদাতার ল্যান্ডিং পেজ, বিজ্ঞাপনের ধরনের সঙ্গে কিওয়ার্ডের কতটা সামঞ্জস্য রয়েছে তার ওপরই প্রাসঙ্গিকতা নির্ভর করে।
কনভার্সন অপটিমাইজার কীভাবে কাজ করে? এটি একধরনের টুল যা আপনার নিলামের বিষয়টি দেখভাল করবে এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
গুগলে পারফরম্যান্স বিচার করুন ওয়ার্ডস্ট্রিম নামক একটি টুল রয়েছে। যার সাহায্যে বিনামূল্য আপনি এটি করতে পারবেন। একই ধরনের হাজার হাজার বিজ্ঞাপনের মধ্যে আপনার গুগল পিপিসি কীরকম পারফর্ম করছে তা এই টুলের সাহায্যে জানা যাবে।
অনলাইনে সাফল্যের জন্য অ্যাডওয়ার্ডস কেন গুরুত্বপূর্ণ?
B2B বা B2C কোম্পানিতে বিক্রি বাড়ানোর জন্য অ্যডওয়ার্ড আপনাকে সাহায্য করবে। তবে এর পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটিংয়ের অন্যান্য প্রচারেও আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
গুগল অ্যাডওয়ার্ডস (Google Adwords) কী? গুগল অ্যাডওয়ার্ডস হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে টেক্সট ও ছবি ব্যবহার করে আপনি আপনার বিজ্ঞাপনকে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে আপনি আপনার বিজ্ঞাপনটিকে প্রথম সারিতে নিয়ে আসতে পারবেন।
ক্যাম্পেনের সঙ্গে পিপিসি কম্পোনেন্ট কেন যুক্ত করবেন?
১) স্পিড অরগ্যানিক এসইও-এর থেকে পিপিসি যুক্ত অ্যাডওয়ার্ডস ক্যাম্পেন অনেক তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছায়।
২) গুগল বিজ্ঞাপনটিকে পুশ করে
এর ফলে বিজ্ঞাপনের অরগ্যানিক র্যাঙ্কিং অনেকটা বেড়ে যাবে। কিছু স্থানীয় কি-ওয়ার্ড ব্যবহারের ফলে তা আরও বাড়তে পারে।
৩) টেস্টিং অ্যাডওয়ার্ডস ক্যাম্পেন বিজ্ঞাপনের টেক্সট, ছবি, ল্যান্ডিং পেজ নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার সুযোগ দেয়। এর জন্য আনেক আলাদা টুলও পাওয়া যায়। যদি দেখা যায় কোনও নির্দিষ্ট ছবি, টেক্সট বা ল্যান্ডিং পেজ সেভাবে কাজ করছে না, তাহলে তা পুনরায় নিজের মতো করে বদলে নেওয়া যায়।
৪) বৃদ্ধির সম্ভাবনা
প্রথমদিকে একসেট কি-ওয়ার্ড দিয়ে শুরু করলেও আপনি পরবর্তীকালে তা বাড়াতে পারবেন না তার কোনও মানে নেই। এই পরিষেবা আপনাকে কিওয়ার্ড বাড়াতে সাহায্য করবে। আকর্ষণীয় কিওয়ার্ড খুঁজে দেবে।
ফ্লেক্সিবিলিটি
অ্যাডওয়ার্ডস বিজ্ঞাপনদাতাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। সময় ও লোকেশনের ওপর ভিত্তি করে সেটি যথাযথ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে। ওই গ্রাহক যদি আপবার প্রোডাক্ট নাও কেনে তাও আপনি তাঁকে ট্র্যাক করতে পারবেন। আজ ওই গ্রাহক জিনিসটি কেনেনি বলে আগামীদিনে কিনবে না তার কোনও মানে নেই।
৬) বিজ্ঞাপনের খরচ নিয়ন্ত্রণ সিপিসির সর্বোচ্চ মূল্য বজায় রাখে। এর ফলে কোনওভাবেই আপনার বিজ্ঞাপনের সর্বোচ্চ বাজেট অতিক্রম করবে না। নিজের ইচ্ছামতো বিজ্ঞাপনের বাজেট বদলেও নিতে পারবেন। যদি দেখেন যে আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিকের সংখ্যা বাড়লেও প্রোডাক্ট ক্রয়ের সংখ্যা বাড়ছে না, সেক্ষেত্রে আপনি বাজেট কমাতে পারেন। কিন্তু তাতে আপনার বিজ্ঞাপনের প্রভাব একই থাকবে।